Search

Banner ad

বাংলাদেশ

বাকেরগঞ্জে রাঙামাটি নদীতে ভাঙন

বালুভর্তি বস্তা তীরে পড়ে আছে কয়েক মাস ধরে







বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের খাল দাড়িয়ালের ভাঙন ঠেকাতে তৈরি জিও ব্যাগ পড়ে আছে তীরে। গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলোবরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার খাল দাড়িয়াল এলাকায় রাঙামাটি নদীর ভাঙন ঠেকাতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বালুভর্তি ব্যাগ ফেলার কথা। তীরে সারি সারি বস্তা প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু নদীতে ফেলা হচ্ছে না। এদিকে নদীতে স্রোত এসেছে, তীর ভাঙছে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি।
  স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদীর ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি বস্তা তিন-চার মাস ধরে পড়ে আছে। পুরো এলাকা পড়েছে ভাঙনের মুখে। ভাঙন ঠেকাতে এসব বস্তা ফেব্রুয়ারি-মার্চে নদীতে ফেলা উচিত ছিল। তখন নদী শান্ত ছিল। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এ কাজে গাফিলতি করেছে। এ কারণে ভাঙন ঠেকাতে নেওয়া এই প্রকল্প মানুষের কোনো কাজে আসছে না।
দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জিও ব্যাগগুলো (বালু ভর্তি বস্তা) পড়ে আছে। এখন নদীতে যে স্রোত বইছে, তাতে এসব বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানো যাবে না। পাউবোর গাফিলতির কারণেই এই এলাকায় প্রকল্প নিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন।
পাউবোর বরিশাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নদী ভাঙন ঠেকাতে পাঁচ কোটি টাকায় দুটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খাল দাড়িয়ালের প্রকল্পে আড়াই কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেলা হবে। তা ছাড়া বাদলপাড়া এলাকার বলইকাঠিতে ব্লক ফেলার কাজ হবে। গত জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে চর দাড়িয়ালে বস্তা তৈরির ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। পাউবোর কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন পেলে এসব বস্তা তীর ঘেঁষে নদীতে ফেলা হবে।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখো গেছে, চরামদ্দি ইউনিয়নের কাটাদিয়া এবং দাড়িয়াল ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রাঙামাটি নদীর খাল দাড়িয়াল অংশে স্রোতের তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে বসতবাড়ি। ভাঙনের কারণে পন্টুন রাখা যাচ্ছে না। যাত্রীরা পন্টুনে নেমে দুর্ভোগে পোহাচ্ছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় নদীর তীর থেকে শুরু করে মাঠের মধ্যে রাখা হয়েছে সারি সারি বালুভর্তি বস্তা। বস্তার গায়ে শেওলা জমে আছে।
মোল্লাবাড়ির নিজাম মোল্লা বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় ভাঙন চলছে। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভাঙন ঠেকাতে প্রকল্প নিয়েছে পাউবো। কিন্তু ভাঙন ঠেকাতে তৈরি বস্তা পাড়েই পড়ে আছে। এখন নদীর ভাঙনে বাড়িঘর হারাচ্ছি আমরা।’
পাউবোর বরিশাল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ বলেন, দাড়িয়াল এলাকায় নদী ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ তৈরির কাজ ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপে কয়েক হাজার ব্যাগ প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব বস্তা পাউবোর ঢাকা কার্যালয়ের টাস্কফোর্সের সদস্যরা গণনা করেছেন। কমিটির সদস্যরা দুই দিন আগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। তবে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। পেলেই নদীতে বস্তা ফেলার কাজ শুরু হবে। ঠিকাদারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ




শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝির ঘাট নৌপথ

নিষেধাজ্ঞা ভেঙে রাতে চলছে স্পিডবোট, ঘটছে দুর্ঘটনা





মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া-শরীয়তপুরের জাজিরার মঙ্গলমাঝির ঘাট পারাপারে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতে স্পিডবোট চালানো হচ্ছে। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া ঘাটটিতে স্পিডবোটে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ঈদে দুর্ভোগ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কপথে ঢাকা-শরীয়তুপর যাতায়াতে যাত্রীরা শিমুলিয়া-মঙ্গলমাঝির ঘাটে লঞ্চের পাশাপাশি স্পিডবোট চলাচল করেন। এ পথে ১৫০টি স্পিডবোট চলাচল করে। স্পিডবোটে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ১৬০ টাকা ও মঙ্গলমাঝির ঘাট থেকে ১৫০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়। অথচ প্রায় একই দূরত্বের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে ভাড়া নেওয়া হয় ১২০ টাকা।
শিমুলিয়া ঘাটের স্থানীয় বাসিন্দা, ঘাটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও যাত্রীরা বলেন, শিমুলিয়া ঘাটের ইজারাদার আশরাফ হোসেন খান স্থানীয় মেদেনীমণ্ডল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর ভাই শওকত হোসেন ঘাটে স্পিডবোট চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন। স্পিডবোটের ভাড়া থেকে ৯০ টাকা দেওয়া হয় চালক ও মালিককে। বাকি ৭০ টাকা ইজারা বাবদ নেওয়া হয়। প্রতিবাদ করলে মালিক ও চালকদের মারধর করা হয়। হয়রানি করা হয় যাত্রীদের। শওকতের তত্ত্বাবধানে রাতেও স্পিডবোট চালানো হয়। রাতে ভাড়া নেওয়া হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্পিডবোট চালক বলেন, তাঁরা ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বোট চালান। অথচ যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ১৬০ টাকার মধ্যে ৭০ টাকাই রেখে দেন ইজারাদার। প্রতিবাদ করলে শওকত হোসেন তাঁর লোকজন নিয়ে মারধর করেন। ঠিকমতো বোটের সিরিয়াল দেন না।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার শিমুলিয়া ঘাটের ইজারাদার আশরাফ হোসেন খান বলেন, ‘মঙ্গলমাঝির ঘাটের দূরত্ব একটু বেশি হওয়ায় ভাড়া ১৬০ টাকা নেওয়া হয়। মঙ্গলমাঝির ঘাট থেকে কেন ১০ টাকা কম নেওয়া হয় আমার জানা নেই। আমার পরিবারের সদস্যরা ঘাটে প্রভাব বিস্তার করে না। কোনো বোটমালিককে টাকা কম দেওয়াও হয় না। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
জানতে চাইলে, শওকত হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ঘাটের ইজার এনেছেন। ঘাট চালাতে নানা রকমের খরচ আছে। তাই একটু বেশি টাকা ইজারা বাবদ রাখা হয়। আর রাতে স্পিডবোট চালাতে সহায়তা করে মাওয়া নৌপুলিশ। আমরা কিছু জানি না।’
তবে শিমুলিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপরিদর্শক (এসআই) সরোজিৎ ঘোষ বলেন, ‘আমরা সব সময় টার্মিনালে টহল দিই। আমাদের উপস্থিতিতে রাতে স্পিডবোট চলাচল করে না। ইজারাদারের সহায়তায় কিছু বোট চলাচল করে। সেগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, রাতে স্পিডবোট চালানোর কারণে এই পথে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রীদের মালামাল ছিনতাই ও ডাকাতিও হচ্ছে। গত দুই বছরে এ পথে স্পিডবোট দুর্ঘটনায়১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে রাতে মারা গেছেন ১২ জন। সর্বশেষ গত ৮ মার্চ রাতে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর দুটি স্পিডবোট ডুবে গেলে জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল সিকদারও ভেদরগঞ্জের পুটজুরি গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র লাবিব হাওলাদার প্রাণ হারান।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের নৌপরিবহনের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. সলেমান বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যার সাথে সাথে ঘাট বন্ধ করে দিই। নদীতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখার জন্য পুলিশ ও ইজারাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কার্যকর পদক্ষেপ নেন না। তাঁদের অসহযোগিতার কারণে ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত রাতে স্পিডবোট চলাচল করছে।’
এসব বিষয়ে মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রায়েদুল আলম মুঠোফোনে বলেন, ‘ঈদে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য কয়েকটি সভা করেছি। সভাগুলোতে ঘাটে সেবাদানকারী সব সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভায় রাতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় রাতে স্পিডবোট চলাচলের প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘাটে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’



বিল আদায় করতে গিয়ে হামলায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মী আহত

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে গিয়ে হামলায় পল্লী বিদ্যুতের কর্মী জহরুল ইসলাম (৪০) আহত হয়েছেন। গত রোববার উপজেলার কালীচওড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত জহরুলকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার রাতে সাতজনকে আসামি করে আদিতমারী থানায় একটি মামলা করেছেন লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন লালমনিরহাট জোনাল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আদিতমারীর কমলাবাড়ীর হাজীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশন (ইনচার্জ) লাইন টেকনিশিয়ান জহরুল ইসলামসহ কয়েক জন কর্মী রোববার বিকেলে বিদ্যুতের বকেয়া বিল আদায়ে বের হন। একপর্যায়ে তাঁরা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক কালীচওড়া গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের বাড়িতে যান। বকেয়া পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন থেকে ইলিয়াস হোসেনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নেন তাঁরা। এ সময় ইলিয়াস হোসেন, তাঁর ভাই আতিক এবং তাঁদের সহযোগী মোবারক, মোফাজ্জলসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে জহরুলের ওপর হামলা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ইলিয়াস হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা জহরুলকে মারপিট করে তাঁর কাছে থাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল হিসেবে আদায় করা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭০ টাকা কেড়ে নিয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর আমি বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় একটি মামলা করেছি।’
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।



পাঁচ জেলায় নিহত আরও সাত

গোপালগঞ্জে দুই বাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গতকাল দুপুরে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া দুই বাসের একটি l ছবি: প্রথম আলোগোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গতকাল সোমবার দুটি যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। একই দিন বগুড়ার শাজাহানপুরে পণ্যবাহী দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনজন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
গত রোববার সন্ধ্যা থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারটিজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১২৬ দিনে বিভিন্ন জেলায় সড়কে প্রাণ হারান ১ হাজার ১০১ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাতে প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর:
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ছাগলছিড়া এলাকায়গতকাল দুপুরে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে দুই বাসের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত হন পাঁচ যাত্রী। তাঁরা হলেন আবদুল আজিজ (৭০), আবুল সিকদার (৫০), করিম সরদার (২৫), মুন্নী আক্তার (১৮) ও কাউসার (১২)। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বরিশাল থেকে ঢাকাগামী বিআরটিসি বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসের এই সংঘর্ষে দুটি বাসই দুমড়েমুচড়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে নিহত হন বিআরটিসি বাসের চালক আবুল ও যাত্রী মুন্নী। হাসপাতালে মারা যান দুজন।
বগুড়ার শাজাহানপুরের ফটকি ব্রিজ এলাকায় গতকাল সকালে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পণ্যবাহী দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হন। গুরুতর আহত তিনজনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন নওগাঁর পত্নীতলার আলপাখা গ্রামের আবদুর করিম (৫০) ও মোখলেছুর রহমান (৩৫)। নিহত অন্য ব্যক্তি একটি ট্রাকের চালক হতে পারেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।
রাজশাহীর বাগমারার ক্যাকারুতলা এলাকায় গতকাল দুপুরে তাহেরপুর-মোহনগঞ্জ সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী আবদুল মান্নান (৪০) নিহত হন। তাঁর বাড়ি উপজেলার দৌলতপুরে। আহত মোটরসাইকেলচালক শাহজাহানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যশোরের বাঘারপাড়ার পান্তাপাড়া এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় ইটবাহী ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত হন আসবাব ব্যবসায়ী আবদুল গফফার (৩৬)। তাঁর বাড়ি পান্তাপাড়া গ্রামে। ব্যবসার কাজে তিনি মোটরসাইকেলে যশোর শহরে এসেছিলেন।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট মহাসড়কের মোস্তফিরহাট এলাকায় রোববার রাতে ভটভটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে নিহত হন লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুল ইসলাম মোহন (২৬)। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাট বাজারে গতকাল বিকেলে ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মো. এরশাদ উল্লা (৩৭) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি সেবারহাট বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন।

No comments:

Post a Comment

চড়কা, চরকা