সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কী হবে?
যে দলের সবচেয়ে বেশি এমপি, সেই দলই কি সরকার গঠন করবে?
এমনটাই হতে হবে, তা নয়। পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর যে দল থেকে সবচেয়ে বেশি এমপি নির্বাচিত হন সাধারণত সেই দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই দলের নেতাই প্রায় সব সময়ই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হন।
কিন্তু কোনো দলই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে এবার তা না-ও হতে পারে। যে দল দ্বিতীয় স্থানে থাকবে, সে দলও অন্য দলের সহযোগিতায় সরকার গঠন করতে পারে।
কিন্তু কোনো দলই স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে এবার তা না-ও হতে পারে। যে দল দ্বিতীয় স্থানে থাকবে, সে দলও অন্য দলের সহযোগিতায় সরকার গঠন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ হলো পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমনসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন। যে দল থেকে সবচেয়ে বেশি এমপি নির্বাচিত হয়, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। ৩২৬টি আসনে জয়ী হলে একটি দল নিরঙ্কুশভাবে সরকার গঠন করতে পারে এবং পার্লামেন্টে নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারে। আর কোনো দল এককভাবে এত আসন না পেলে, সেটা হবে ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’।
যখন কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে পর্যাপ্ত এমপি না পায়, তখন পার্লামেন্ট গঠনে বিদ্যমান অনিশ্চিত পরিস্থিতিকে ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’ বলে। ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে এমনটা হয়েছিল।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিই ক্ষমতায় থাকবে এবং থেরেসা মে ডাউনিং স্ট্রিটেই বাস করবেন।
এ পর্যায়ে দলের নেতাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলবে। তাঁরা একটা জোট সরকার গঠনের চেষ্টা চালাবেন। সে ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা থেরেসা মে বা লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার গঠন হতে পারে।
অথবা দুই দলের মধ্যে কোনো একটি দলের নেতা অন্যান্য ছোট দলের সমর্থনের ভিত্তিতে একক সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে পারে। এখানে প্রয়োজনীয় আইনগত অনুমোদনের বিষয়টি রয়েছে।
এ পর্যায়ে দলের নেতাদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক চলবে। তাঁরা একটা জোট সরকার গঠনের চেষ্টা চালাবেন। সে ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা থেরেসা মে বা লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকে প্রধানমন্ত্রী করে সরকার গঠন হতে পারে।
অথবা দুই দলের মধ্যে কোনো একটি দলের নেতা অন্যান্য ছোট দলের সমর্থনের ভিত্তিতে একক সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে পারে। এখানে প্রয়োজনীয় আইনগত অনুমোদনের বিষয়টি রয়েছে।
এ ধরনের জোট সরকার গঠনের সুযোগ কে প্রথম পাবে?
থেরেসা মে প্রথমে সরকার গঠনের সুযোগ পাবেন। এ-সংক্রান্ত আলোচনা চলাকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকবেন। তবে এমন না যে থেরেসার চেষ্টাকালে করবিন বসে থাকবেন। যদি দেখা যায় থেরেসা এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন এবং জেরেমি করবিন সফল হয়েছেন, তাহলে থেরেসাকে পদত্যাগ করতে হবে। তখন করবিনই হবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। ২০১০ সালের নির্বাচনে জোট সরকার গঠনের জন্য পাঁচ দিন সময় লেগেছিল, তবে সাধারণত এই আলোচনা ও দর-কষাকষিতে আরও বেশি সময় লাগে।
আলোচনাপ্রক্রিয়া নিশ্চয়ই অনির্দিষ্টকাল ধরে চলবে না?
এবার প্রথম দফায় চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আছে ১৩ জুন। নতুন পার্লামেন্ট শুরু হবে সেই দিন। মন্ত্রিপরিষদ অফিসের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, থেরেসা ক্ষমতায় থাকতে বা ছেড়ে যেতে চাইলে ১৩ জুনের মধ্যে একটা সমঝোতা সম্পন্ন করতে হবে। তবে থেরেসাকে নিশ্চিত হতে হবে যে জেরেমি করবিন এই সমঝোতা করতে পারছেন, আর তিনি পারেননি।
এবার প্রথম দফায় চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আছে ১৩ জুন। নতুন পার্লামেন্ট শুরু হবে সেই দিন। মন্ত্রিপরিষদ অফিসের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, থেরেসা ক্ষমতায় থাকতে বা ছেড়ে যেতে চাইলে ১৩ জুনের মধ্যে একটা সমঝোতা সম্পন্ন করতে হবে। তবে থেরেসাকে নিশ্চিত হতে হবে যে জেরেমি করবিন এই সমঝোতা করতে পারছেন, আর তিনি পারেননি।
No comments:
Post a Comment