‘এভাবে দেখলে কেউ আর সেমাই খাবে না’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চালানো বাজার অভিযানে আজ শুক্রবার এ অবস্থাই দেখা গেছে। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার ও লালবাগ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। নয়টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ধারায় মোট পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, মাংসের দোকান ও সুপারশপ।
কামরাঙ্গীরচরের হাবিবা ফুড প্রোডাক্টসে গিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দল দেখতে পায়, সেখানে তৈরি সেমাই নকল প্যাকেটে ভরা হচ্ছে। অবৈধ প্রক্রিয়ায় ও নকল পণ্য উৎপাদনের দায়ে এই প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া মোহাম্মদ আলী ফুড প্রোডাক্টসকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদনের দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর লালবাগের জান্নাত হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতারি তৈরির অপরাধে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন ও আতিয়া সুলতানা। অভিযানের ব্যাপারে মাসুম আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেভাবে সেমাই তৈরি হচ্ছিল, তা চরম অস্বাস্থ্যকর। এভাবে তৈরি হতে দেখলে কেউ আর সেমাই খাবে না। জিলাপিতে মেশানো হচ্ছিল ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। এগুলো সরাসরি মানুষের কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
কিছু সুপারশপেও পাওয়া গেছে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য। কিছু পণ্যের গায়ে লেখা ছিল না সর্বোচ্চ খুচরামূল্য। এসব অপরাধে লালবাগ এলাকার স্বপ্ন সুপারশপকে ৩৭ ও ৫১ ধারায় মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে মিনা বাজারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদনের দায়ে কামরাঙ্গীর চরের বাধ ফুড প্রোডাক্টসকে ৫০ হাজার ও লালবাগের ডি ক্যাফে রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রমজানের শুরু থেকে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। ঈদের আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে। তবে গত রমজানের তুলনায় এবার ভেজাল পণ্যের পরিমাণ তুলনামূলক কম বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অভিযানে গরুর মাংসের দাম বেশি রাখার অপরাধে লালবাগে চান মিয়ার মাংসের দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা ও খাদ্যদ্রব্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মেশানোর দায়ে চক বাজারের বাঘাবাড়ি ডেইরি অ্যান্ড সুইটসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
No comments:
Post a Comment